Header Ads

Header ADS

এশিয়া থাকবে ফোরজিতে সেরা!

আগামী চার বছরের মধ্যেই ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এগিয়ে যাবে এশিয়া। ভারত ও চীনে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক বা লং টার্ম ইভোলিউশন (এলটিই) উন্মুক্ত হওয়ায় ২০১৭ সাল নাগাদ ৪৭ শতাংশ ফোরজি সংযোগ আসবে এশিয়া থেকে। আন্তর্জাতিক টেলিকম সংস্থা জিএসএম অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।
জিএসএমএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলটিই সংযোগের প্রায় অর্ধেকই হবে এশিয়াভিত্তিক আর এসময় নাগাদ বিশ্বে ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যাও একশো কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
জিএসএমএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৭ সাল নাগাদ বিশ্বে মোবাইল সংযোগ দাঁড়াবে প্রায় আটশো কোটি। এ সময়ের মধ্যে প্রতিটি আটটি সংযোগের অন্তত একটি হবে ফোরজি সংযোগ। ২০১৩ সালের শেষ নাগাদ ফোরজি সংযোগ দাঁড়াবে সাড়ে ১৭ কোটির ওপরে।
জিএসএমএর সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ জনসংখ্যা ফোরজি বা এলটিই নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। মোবাইল অপারেটররা আগামী কয়েক বছর ধরেই তাদের নেটওয়ার্ক সুবিধা বাড়াতে কাজ করবে যার ফলে ২০১৭ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৯০ শতাংশ, ইউরোপে ৪৭ শতাংশ ও এশিয়ায় ১০ শতাংশ জনসংখ্যা এলটিইর আওতায় রয়েছে।
জিএসএমএর প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুনমি ইয়াং জানিয়েছেন, এলটিইর প্রসারণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে উপযুক্ত সময়ে মোবাইল অপারেটরদের কাছে ফোরজি তরঙ্গের বরাদ্দ, ফোরজি সমর্থনযোগ্য সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন, কম দামে ফোরজি নেটওয়ার্কে ডাটা ব্যবহারের সুযোগ।
ইয়াংয়ের মতে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে এলটিই চালু করতে পারলে মোবাইল অপারেটরদের ব্যবসা আরও বাড়বে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এলটিই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে গড়ে প্রায় সাত থেকে ২০ গুণ আয় করা সম্ভব। তবে এ জন্য ফোরজি সুবিধার সাশ্রয়ী স্মার্টফোন তৈরির দিকে যেতে হবে নির্মাতাদের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.