Header Ads

Header ADS

দার্জিলিং যাবেন কিভাবে? একদম সহজ

এটির অবস্থান ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের হিমালয়ের পাদদেশে । প্রতিবেশী দেশের কোনো জায়ায় ঘুরতে গেলে যে কয়টা নাম মনে আসে তার মধ্যে দার্জিলিং অন্যতম

প্রকৃতির নৈসর্গিক ছোঁয়া পেতে লাখ লাখ পর্যটক প্রতিবছর দার্জিলিংয়ে ছুটে আসেন। ভারতের অন্যান্য স্থান থেকে এ শহরের আবহাওয়া একটু ব্যতিক্রম। শহরটি হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই বিরাজ করে শীত ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া। দার্জিলিং শহরটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উপরে। বছরের ৯ মাসই থাকে ঠাণ্ডা। মনে হবে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে নিজ হাতে ছোঁয়া যাবে মেঘমালাকে। বাকি ৩ মাস পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারে সূর্য। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে উঠতে হয় মূল দার্জিলিং শহরে।

বস্তুত দার্জিলিং শহরটি ব্রিটিশ আমলেই বিশ্ব পর্যটকদের নজরে আসে। শহরে উঠেই দেখতে পাবেন সব জায়গায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের চিহ্ন। রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এমনকি চিড়িয়াখানা পর্যন্ত সব স্থানেই ব্রিটিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া। মূলত ব্রিটিশরা এ শহরকে তাদের নিজের মতো করে সাজিয়েছিল। কারণ ছিল একটাই এর নির্মল আবহাওয়া আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথ এখন তিনটি-রেলপথ, সড়কপথ আর আকাশপথ। আকাশপথে যেতে চাইলে ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে জেট এয়ার, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, বাংলাদেশ বিমানে করে সরাসরি কলকাতা। খরচ হবে প্রায় ১১০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা। সেখান থেকে আবার এয়ার ইন্ডিয়ায় চেপে সাশ্রয়ীমূল্যে শিলিগুড়ি। এবার চান্দের গাড়ি চেপে যেতে হবে দার্জিলিং। চান্দের গাড়ির ভাড়া পড়বে ১৪০ রুপি বা ১৬০ টাকা। আর এতো ঝামেলা করার চেয়ে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বাস সার্ভিস রয়েছে ভারতে।
তারমধ্যে শ্যামলী পরিবহন সরাসরি শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ভাড়া হবে ১৬০০ টাকা। বর্ডার পার হওয়ার সময় ভ্রমণকর হিসেবে দিতে হবে অতিরিক্ত ৫৫০ টাকা। এবার আসা যাক রেলপথ। রেলপথে যেতে হলে ঢাকা থেকে টিকেট করতে হবে। এখন অবশ্য চট্টগ্রাম থেকেও মৈত্রী ট্রেনের টিকেট করা যায় কিন্তু যাত্রা করতে হবে ঢাকা থেকে।

কোথায় থাকবেন
দার্জিলিং যেহেতু পর্যটন এলাকা তাই থাকার জায়গার সমস্যা নেই। এখানে মাঝারি দাম থেকে অল্প দামের হোটেলও পাবেন আপনি। তবে ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বেলভিউ, সাগরিকা, সোনার বাংলা, মহাকাল হোটেল বেশি জনপ্রিয়। প্রতিটি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া পড়বে ১০০০ রুপি। ডাবল রুমের ভাড়া ১২০০ রুপি। আর তিনবেডের রুমের ভাড়া ১৫০০ রুপি।
ভালো হোটেল  এ থাকতে চাইলে ভাড়া আরও বেশি গুণতে হবে ।
কোথায় ঘুরবেন
দার্জিলিং ঘুরতে যানবাহনের অভাব হবে না। প্রত্যেক হোটেলের সামনেই পাবেন গাড়িসহ ট্যুর গাইড। যে কোনো তথ্য বা দিক নির্দেশনার জন্য আছে পর্যটন অফিস। দল ভারি হলে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে ফেলতে পারেন। গাড়ি ভাড়ার চুক্তি হবে কয়টি স্থান ঘুরবেন সেই হিসেবে। তবে দল ছোট হলে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজেও ঢুকে পড়তে পারেন।

কাছাকাছি দেখার মতো জায়গার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ম্যাল, টাইগার হিল, চা বাগান, জাপানিজ টেম্পল, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি। এছাড়াও আছে নর্থ পয়েন্ট থেকে সিঙ্ঘা পর্যন্ত কেবল-কার। চড়তে লাগবে জনপ্রতি ১২০ রুপি।
এবার চান্দের গাড়ি চেপে যেতে হবে দার্জিলিং। চান্দের গাড়ির ভাড়া পড়বে ১৪০ রুপি বা ১৬০ টাকা। আর এতো ঝামেলা করার চেয়ে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বাস সার্ভিস রয়েছে ভারতে।



তারমধ্যে শ্যামলী পরিবহন সরাসরি শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ভাড়া হবে ১৬০০ টাকা । বর্ডার পার হওয়ার সময় ভ্রমণকর হিসেবে দিতে হবে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা। এবার আসা যাক রেলপথ। রেলপথে যেতে হলে ঢাকা থেকে টিকেট করতে হবে। এখন অবশ্য চট্টগ্রাম থেকেও মৈত্রী ট্রেনের টিকেট করা যায় কিন্তু যাত্রা করতে হবে ঢাকা থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.