Header Ads

Header ADS

পেপ্যাল-জুমে দেশে অর্থ আনার সেবার উদ্বোধন


পেপ্যাল-জুম মাধ্যমে দেশে অর্থ আনার নতুন সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
ফলে এখন হতে এই সেবার মাধ্যমে বিদেশের যেকোনো একজন ক্লাইন্ট দেশের যেকোনো একজন ফ্রিল্যান্সার বা প্রাপকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ফ্রিল্যান্সার সম্মেলনে প্রধান অতিথি থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জয় বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা এখন আয় করছে। আমরা দেখলাম বিভিন্ন প্লাটফর্ম হতে আয় করা এই অর্থ আনতে ফিল্যান্সাররা বিরাট সংকটে পড়ছে, সমস্যায় পড়ছে। সেটার কারণ হচ্ছে বিদেশ হতে টাকা পাঠাতে সময় লাগে। মিনিমাম তিনদিন লাগে বা আরও বেশি লাগে এবং এতে খরচ আছে। এতে তাদের আয়ের ৩০ শতাংশের মতো চলে যায়। তখনই ফ্রিল্যান্সারদের দাবি ছিল যে, বাংলাদেশে আমরা পেপ্যাল আনতে পারি না?

‘আমরা আইসিটি বিভাগ হতে উদ্যোগ নেই। সেই প্রথম ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্সে আমি ডাক দেই যে, ঠিক আছে পেপ্যাল যদি বাংলাদেশে আসতে না চায় তাহলে আমাদের মাঝে কেউ এমন একটি সিস্টেম তৈরি করতে পারে না যে পেপ্যালের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা সরাসরি আসতে পারে।
আজকে সেই সার্ভিস বাংলাদেশে চালু হলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, ‘এখন টাকা আনতে সাধারণত ৪০ মিনিট সময় লাগবে, সর্বোচ্চ হলে ২ ঘন্টা। পেইনিওর বা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে যেখনে দশ-বিশ-ত্রিশ শতাংশ খরচ কেটে নেয়, বছরে ফি দিতে হয় সেখানে এখন ১ হাজার ডলার আনতে লাগবে ৫ ডলার। আর এর ওপরে কোনো টাকা লাগছে না । এতে বছরে ফিও নেই।’
সভাপতির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তরুণদের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। লেটস টকের মতো প্লাটফর্ম তৈরি করে তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং, আত্মকর্মসস্থানের কি সমস্যা তার ফান্ডিংয়ে কি সমস্যা-সেগুলো শুনেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ-তরুণীদের একটাই দাবি ছিল যে পেপ্যালের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সেরে টাকা বাংলাদেশে আনতে চাই। আমরা ১০ বছর ধরে শুনছি পেপ্যাল আসবে, পেপ্যাল আসবে, পেপ্যালের মাধ্যমে টাকা আনা যাবে। কিন্তু কেউ তো কখনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’
‘সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায়, তত্ত্বাবধানে আমরা বারবার পেপ্যালের কাছে গিয়েছি। বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অবস্থা তুলে ধরেছি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আমাদের ১০০ মিলিয়নের বেশি আয় হয় অথচ এই টাকা কোথাও রিফ্লেক্টেড না কারণ সেটা অন্য কোনো চ্যানেলে আসছে কিংবা দেশের বাইরে কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টেই থেকে যাচ্ছে। সে কারণে অর্থনৈতিকভাবে এই লেনদেনটা কোথাও প্রতিফলিত হচ্ছে না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘এখন পেপ্যালের জুম সার্ভিসের মাধ্যমে আমেরিকায় যেকোনো একজন ক্লাইন্ট আপনাদের যে কোনো একজন ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন, দিন-রাত ২৪ ঘন্টা স্বল্প খরচে। এভাবে আমরা প্রথম ধাপ সফল হলাম।’
দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য আজকের এই দিন বিশেষ উল্লেখযোগ্য জানিয়ে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, পেপ্যালের এই সেবার ফলে আজ হতে ৫ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার বৈধ পথে তাদের উপার্জন দেশে আনতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.